9

ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে ‘নবীন বরণ ২০২৪’ ও ‘অভিভাবক সভা’ অনুষ্ঠিত।

গত ২৭ নভেম্বর ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে নবীন বরণ ২০২৪ (অরিয়েন্টেশন) ও অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দুই মাসের ফাউন্ডেশন ক্লাসের ফলাফল ও অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। অনুষ্ঠানে মিউজিক, ডান্স, কালচারাল পারফর্মেন্সসহ ছিল বিশেষ আয়োজন। এছাড়াও Evaluatation পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রকৌশলী জনাব আনোয়ারুল কবির পরিচালক কারিকুলাম, ড্যাফোডিল গ্রুপের সম্মানিত সিইও ডঃ মুহাম্মদ নুরুজ্জামান,ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এর প্রিন্সিপাল কে. এম. হাসান রিপন, ভাইস প্রিন্সিপাল আবদুল হাকিম, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং নবীন শিক্ষার্থীরা। উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য মোটিভেশনাল সেশন, সফল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য দিকনির্দেশনা এবং প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পড়াশোনার উন্নতি নয়, বরং তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অভিভাবক সভায় শিক্ষার্থীদের বিগত দুই মাসের ফাউন্ডেশন ক্লাসের রেজাল্ট এবং তাদের অগ্রগতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। বিশেষত বিজ্ঞান বিভাগের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য ফাউন্ডেশন ক্লাস অত্যন্ত কার্যকরী। অভিভাবকরা জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতোমধ্যেই আত্মবিশ্বাস, নতুন কিছু শেখার আগ্রহ এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য তৈরি হয়েছে।

নতুন শিক্ষার্থীরা জানায়, ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি, সেশন, ওয়ার্কশপ এবং ইন্ডাস্ট্রি ভিজিটসহ বিভিন্ন কার্যক্রম তাদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং যাত্রায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।

উল্লেখ্য, ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি শিক্ষার্থীদের শুধু শিক্ষার মানোন্নয়ন নয়, বরং সহশিক্ষা কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

যথাযথ মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন

১৭ ই  মার্চ (রবিবার ),ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব  ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এ অনুষ্ঠিত হলো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস– ২০২৪। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে আনব হাসি সবার ঘরে’।

সকাল ১১ টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর  মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা ।  কোরআন তেলাওয়াত করে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের ৩য় পর্বে শিক্ষার্থী মোঃ আরিফুল ইসলাম মেকানিক্যাল টেকনোলজি ।  আলোচনা সভাটি পরিচালনা করে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির  ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজির ১ম পর্বের শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ বিশ্বাস।

উক্ত সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালনের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর ছাত্র-ছাত্রীদের ও পোস্টার উপস্থাপনা প্রতিযোগিতা ,বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর রচনা প্রতিযোগিতা এবং কবিতা আবৃত্তি ,আলোচনা সভা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে উৎযাপন করা হয়  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান– এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস– ২০২৪। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে- শিক্ষার্থী হিসেবে পড়াশোনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর চেতনাকে কিভাবে প্রতিফলিত করা যায় সে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস  উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি, পোস্টার উপস্থাপনা  ও  রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন ।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির কালচারাল ক্লাবের শিক্ষার্থীরা কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করে ।

আলোচনা সভার শেষে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম পারভেজ ববি সকলকে বঙ্গবন্ধুর মত আদর্শ মানুষ ,আদর্শ শিক্ষার্থী হয়ে নিজের প্রতিভা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তী ঘোষণা করেন।

ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব  ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উদযাপন

স্বাধীন বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ প্রতিবছর অমর একুশের শহীদ দিবসে মহান ভাষা আন্দোলনের সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করে। ১৯৫২-এর ভাষা শহীদদের পবিত্র রক্তস্রোতের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালি জাতীর মুক্তিসংগ্রামের গৌরবগাঁথা। ১৯৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলার ছাত্রসমাজ আত্মদান করে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। রক্তরাঙা অমর একুশে ফেব্রুয়ারি রক্তের প্লাবনের মধ্য দিয়ে আজ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গৌরবময় আসনে আসীন।

শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে  ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণকে রাঙিয়ে তুলেছে। 

এর ধারাবাহিকতায় ভোর ৫ টার সময় ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির সামনে থেকে  উপাধ্যক্ষ জনাব মোঃ আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের  উদ্দেশ্যে প্রভাতফেরিতে খালি পায়ে অংশ গ্রহণ করে।এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্বৈত কন্ঠে গাইতে থাকে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি….., একুশের চেতনা ভুলিনাই ভুলবনা।” প্রভাতফেরি সকাল ৬ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছায়।  এরপর শিক্ষার্থীরা ভাইস প্রিন্সিপাল স্যারের নেতৃত্বে নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করে, মাইকে  যখন ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির  নাম ঘোষণা হয় তখন ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সকাল ০৭:৩০ মিনিটে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি ইন্সট্রাক্টর মোঃ আরিফুল হক ও মেকানিক্যাল টেকনোলজির ইন্সট্রাক্টর বিকাশ চন্দ্র সরকার l পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজির ইন্সটাক্টর মোঃ আরিফুল হক। 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা l কোরআন ও গীতা পাঠ করে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের ১ম পর্বে শিক্ষার্থী মোঃ শাওয়াল এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের ১ম পর্বে শিক্ষার্থী সুপ্তি মজুমদার।  আলোচনা সভাটি পরিচালনা করে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির  ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজির ১ম পর্বের শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ বিশ্বাস  । 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব  ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম পারভেজ ববি। 

উক্ত সভার শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটি  পরিবেশন করে l

এর পর বক্তব্য রাখেন আলোচনা সভার প্রধান অতিথি রোজিনা সুলতানা রোজী, লেখক ও মাস্টার ট্রেইনার গণিত অলিম্পিয়াড l প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের শুরুতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার  সহ নাম না জানা সকল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন l এর পর তিনি বলেন, সকল মানুষের প্রথম ভাষা তার মাতৃভাষা। এটি তার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং স্বাভাবিক সাহিত্যিক মেলবন্ধনের চেহারা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একটি মৌলিক উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হয়েছে – মানবিক সম্প্রসারণের মাধ্যমে ভাষার গুরুত্ব ও মর্যাদা বাড়ানো। 

শহীদ দিবস আমাদের কাছে একটি মুখ্য দিন, ভাষা শহীদদের সাহস আমাদের প্রেরণা দেয়। যেন আমরা আমাদের মাতৃভাষা এবং সংস্কৃতির মূল সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে পারি।

আমরা আজকে সকলের জন্য একটি সাধারণ প্রতিশ্রুতি নিয়ে চলেছি – আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে সংরক্ষণ করব, তার মান ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকব, এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং শহীদ দিবসের উপলক্ষে তাদের স্মৃতির সাথে সম্পর্কিত সকলকে  সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্পণ করব। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম পারভেজ ববি এবং ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের উপাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ফরহাদ । তার তাদের  বক্তব্যে বলেন, ভাষা কেবল কথা বলার মাধ্যম নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক জ্ঞানের চাবিকাঠি ভাষার মাধ্যমে আমরা আমাদের চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করি এবং অন্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করি ভাষা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণ করে চলার পথে সহায়তা করে l তাই প্রত্যেককে নিজ নিজ ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানান l

অতিথিদের বক্তব্য শেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি, সুন্দর হাতের লেখা ও প্রতিযো শুদ্ধ বানান ও  রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান l অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন l

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান l ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির কালচারাল ক্লাবের শিক্ষার্থীরা কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য এবং গান পরিবেশন করে l

আলোচনা সভার শেষে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম পারভেজ ববি সকলকে একুশের চেনতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সারা বিশ্বে বাংলা ভাষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তী ঘোষণা করেন। 

The Overall Effect Of Fast Fashion: Part:02

Why is fast fashion so popular?

Even 15 years ago, when people buy clothes, they have to keep in mind that the clothes can be worn for a long time and its quality is good enough.In that case, how comfortable the garment is to the people and how long it can be used is very important.But as more and more people are celebrities in the social media entertainment world, and not only that, but also the micro-celebrities on social media, the kind of clothes and trends that influence each other psychologically, such fashions marginalized people emotionally to nurture that fashion within themselves.Which is why we often notice that if a social media celebrity wears a T-shirt with a tag or a message, we also think that we might want to buy a T-shirt like this.It is not uncommon for a person to follow a particular fashion but also to feel comfortable wearing different fashions in different seasons.The content plug is one of the few organizations that analyzes various contemporary issues. According to them, there is a strong link between the fashion industry and social media.

Picture Credits: The content plug

What is the main role of social media in this case?

In the US, over 60 per cent of clothing and fashion sales are still centered around social media trends.

The Zara fashion company is now, for the most part, thinking of ways to bring a variety of outfits to the market, such as the kind of celebrities seen on social media, and not only that, but it should be able to do so much faster than other companies. There are a number of medium-sized fashion company that send out clothes on social media to those who are fairly celebrity or have micro-celebrities, and are asked to publish a positive review on their YouTube channel or Facebook to increase their demand for clothing in the market. Statistically, many more have now started clothing lineups on a personal level and those micro-celebrities are publishing messages if they have a message through their t-shirts or clothes and in this way they market it as fast fashion which is part of it.

The most striking thing about fast fashion is that the fashion moves very fast and is developed very fast and it is sent to the consumer so that the quality of the fashion is not very good and the quality of the clothes is not very good but a message is provided by that fashion.  There are more thoughts to do which are always active on social media. Social media addiction makes people more dependent on fashion and they are more concerned with expressing any message or personality with fashion than with quality in fashion. Due to the above, the demand for fashion is easily met by the consumers through social media and they never think much about spending less money or spending more money to buy that fashion whether they need it or not.  Is done and plays a direct role in wasting money as well as environmental damage.

Source: Self-content with Google searching

Author

Md Ashikur Rahman

Instructor (Textile & GDPM)

Department of Textile Engineering

Buttonhole Machine Operation(Part-1)

বাটনহোল মেশিন অপারেশনঃ

এই ব্লগটি সম্পন্ন করার পর একজন শিক্ষার্থী বাটনহোল মেশিন দ্বারা সেলাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক ও ব্যবহরিক দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। সেলাইয়ের জন্য বাটনহোল মেশিন প্রস্ত্তুত করণ, মেশিনের যন্ত্রাংশ সেট করণ,বাটনহোল মেশিন সেলাইয়ে দক্ষতা অর্জন করণ,মেশিন পরিষ্কার করণ এই ব্লগ এর অন্তর্ভূক্ত ।

Buttonhole Machine

বৈদ্যুতিন বোতাম হোল সেলাই মেশিনের বৈশিষ্ট্যঃ


1. সর্বোচ্চ  উচ্চ উৎপাদন দক্ষতা সম্পন্ন
2. সুন্দর সেলাই, নিদর্শন নির্ভুলতা সম্পন্ন
৩. বড় মেশিনের মুখ বাটনহোল  সুবিধাজনক অপারেশন বুঝতে পারে।
৪. নিম্ন নয়েস সঙ্গে সুন্দর সেলাই।
৫. সহজ রক্ষণাবেক্ষণ ও খরচ কম ।

বাটনহোল মেশিন অপারেশন

                      

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

১.তৈরি পোশাক শিল্প (আর এম জি) কর্মক্ষেত্রে পোশাক তৈরিতে বাটনহোল সংশ্লিষ্ট প্রোপারটিজ, কম্পোনেন্ট ও যন্ত্রপাতির ধারনা লাভ ওব্যবহার করতে পারবে।

২.আর এম জি কর্মক্ষেত্রে হেলথ, সেফটি অ্যান্ড ইথিকস প্রাকটিস এর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

৩. বাটনহোল সেলাই এর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

প্রত্যাশিত শিখনফলঃ (১) কাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে

পারদর্শিতা নির্ণায়ক / মানদন্ড

১.১ কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী আত্নরক্ষামূলক সরঞ্জমাদি (PPE) সংগ্রহ ও পরিধান করবে।

১.২ পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (OSH) নিম্চিত করবে।

১.৩ স্পেসিফিকেসন অনুযায়ী টুলস ও ম্যাটারিয়াল নির্বাচন ও সংগ্রহ করবে।

১.৪ কর্মক্ষেত্রে জরুরী প্রয়োজনে নিরাপদ বর্হিগমন পথ সনাক্ত করবে। 

বিভিন্ন ধরনের বাটনহোল মেশিন অপারেশন

             

প্রত্যাশিত শিখনফলঃ (২) সেলাইয়ের জন্য মেশিন সেট করতে পারবে

পারদর্শিতা নির্ণায়ক / মানদন্ড

২.১ বাটনহোল মেশিন পরিষ্কার করবে।

২.২ বাটনহোল মেশিনের যন্ত্রাংশ চেক করবে।

২.৩ বাটনহোল সেলাইয়ের ম্যাটারিয়ালস, কাস্টমারের চাহিদা ও সুয়িং ম্যনুয়েল অনুযায়ী নিডেল নির্বাচন করবে।

২.৪ হোল টু হোল ডিসটেন্স নির্ধারণ করবে।

২.৪ সেলাইয়ের টেনশন ও এস পি আই (স্টিচ পার ইঞ্চি  নির্ধারণ করবে।

সোর্সঃ গুগল উইকিপিডিয়া ও বিকিউএফ

Asfakur Rahman Togor

Instructor (Textile & GDPM)

Department of Textile Engineering

Daffodil Polytechnic Institute, Dhaka.                                      

Fitra

ভূমিকা :

ফিতরা বা ফেতরা আরবী শব্দ। যা ইসলামে যাকাতুল ফিতর নামে পরিচিত। ফিতরা বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা উপবাস পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।

নারী-পুরুষ, স্বাধীন-পরাধীন, শিশু-বৃদ্ধ, ছোট-বড়, সামর্থবান সকল মুসলিমের জন্য ফিতরা প্রদান করা ওয়াজিব। ইবনে উমর থেকে জানা যায়ঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক স্বাধীন-ক্রীতদাস, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় মুসলমানের যাকাতুল ফিতর এক ‘সা’ পরিমাণ খেজুর বা যব ওয়াজিব করেছেন। তিনি লোকদের ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।

সা এবং র্অধ সা :

ফিতরা প্রদানের পরিমাপ সংক্রান্ত আলোচনায় সা বহুল আলোচিত শব্দ। সা হচ্ছে আরবদেশে ওজন বা পরিমাপে ব্যবহৃত পাত্র। বাংলাদেশে যেমন ধান পরিমাপের জন্য একসময় কাঠা ব্যবহৃত হত। একজন মাঝামাঝি শারীরিক গঠনের মানুষ অর্থাৎ অধিক লম্বা নয় এবং বেঁটেও নয়, এই রকম মানুষ তার দুই হাত একত্রে করলে যে অঞ্জলি গঠিত হয়, ঐরকম পূর্ণ চার অঞ্জলি সমান হচ্ছে এক সা

ফিতরা পাবে যারা

গরীব, দুঃস্থ, অসহায়, অভাবগ্রস্থ ব্যক্তিকে ফিতরা প্রদান করা যাবে। সামর্থ্যবান মুমিন নারী-পুরুষের ওপর ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্যবানদের অধীনস্ত পরিবারের সব সদস্যদের ফিতরাও দায়িত্বশীল ব্যক্তি আদায় করবেন। অর্থাৎ পরিবারের শিশু-কিশোর যদি অর্থের মালিক না হয় তবে বাবাই পরিবারের লোকদের ফিতরা আদায় করবেন।

এক কথায় সামর্থ্যবান নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সব স্বাধীন, পরাধীন এমনকি হিজড়া সম্প্রদারে ওপরই ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। বালেগ সন্তান যদি পাগল হয় তবে পিতার পক্ষ থেকে তা আদায় করা ওয়াজিব ৷

বেতনভুক্ত কাজের ব্যক্তির পক্ষে ফিতরা প্রদান করা মালিকের উপর আবশ্যক নয়। তবে মালিক ইচ্ছে করলে কাজের লোককে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন। তবে তিনি বেতন বা পারিশ্রমিক হিসেবে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন না ।

ফিতরা যা দিয়ে দেয়া যাবে

১.টাকা দিয়ে ফিতরা

২.খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা

১.টাকা দিয়ে ফিতরা

মুহাম্মদ সাঃ এর যুগে মুদ্রা হিসেবে দিরহাম প্রচলিত ছিলো। দিরহামের দ্বারা কেনা কাটা, দান খয়রাত করা হতো। তবু সাহাবী খুদরী রাঃ হতে বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায় মুহাম্মদ সাঃ খাদ্য বস্তু দিয়ে ফিতরা প্রদান করতেন। এজন্য মুসলমান পন্ডিতদের বড় অংশ টাকা দিয়ে ফিতরা প্রদানের ব্যাপারে ভিন্নমত পোষন করেন। ইমাম আহমদ রহঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতের বরখেলাফ হওয়ার কারণে আমার আশঙ্কা হচ্ছে যে, তা যথেষ্ট হবে না।

২.খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা

  বর্তমান মূল্য :  ইসলামি শরীয়াহ মতে, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলাের যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। উন্নতমানের আটা বা গম দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭৫ (পঁচাত্তর) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩০০ (তিনশ) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৪২০ (এক হাজার চারশ বিশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৬৫০ (এক হাজার ছয়শ পঞ্চাশ) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২,৩১০ (দুই হাজার তিনশ দশ) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে। দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা/গম, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরােক্ত পণ্যগুলাের যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উপরােক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশােধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।।

   ইসলামি  ‍মতবাদ : প্রত্যেকের জন্য মাথাপিছু এক ছা‘ খাদ্যশস্য যাকাতুল ফিৎর হিসাবে বের করতে হবে। ‘ছা’ হচ্ছে তৎকালীন সময়ের এক ধরনের ওযন করার পাত্র। নবী করীম (ছাঃ)-এর যুগের ছা‘ হিসাবে এক ছা‘-তে সবচেয়ে ভাল গম ২ কেজি ৪০ গ্রাম হয়। বিভিন্ন ফসলের ছা‘ ওযন হিসাবে বিভিন্ন হয়। এক ছা‘ চাউল প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম হয়। তবে ওযন হিসাবে এক ছা‘ গম, যব, ভুট্টা, খেজুর ইত্যাদি ২ কেজি ২২৫ গ্রামের বেশি হয়। ইরাকী এক ছা‘ হিসাবে ২ কেজি ৪০০ গ্রাম অথবা প্রমাণ সাইজ হাতের পূর্ণ চার অঞ্জলি চাউল। বর্তমানে আমাদের দেশে এক ছা‘তে আড়াই কেজি চাউল হয়।

অর্ধ ছা‘ ফিতরা আদায় করা সুন্নাত বিরোধী কাজ। মু‘আবিয়া -এর যুগে মদীনায় গম ছিল না। সিরিয়া হ’তে গম আমদানী করা হ’ত। তাই উচ্চ মূল্যের বিবেচনায় তিনি অর্ধ ছা‘ গম দ্বারা ফিৎরা দিতে বলেন। কিন্তু বিশিষ্ট ছাহাবী আবু সাঈদ খুদরী সহ অন্যান্য ছাহাবীগণ মু‘আবিয়া -এর এই ইজতিহাদী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নির্দেশ ও প্রথম যুগের আমলের উপরেই কায়েম থাকেন। যারা অর্ধ ছা‘ গম দ্বারা ফিৎরা আদায় করেন, তারা মু‘আবিয়া -এর রায়ের অনুসরণ করেন মাত্র। ইমাম নবভী বলেন, সুতরাং অর্ধ ছা‘ ফিৎরা আদায় করা সুন্নাহর খেলাপ। রাসূল (ছাঃ) যাকাতের ও ফিতরার যে হার নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা রদবদল করার অধিকার কারো নেই।এ ব্যাপারে ওমর একটি ফরমান লিখে আমর ইবনে হাযম -এর নিকটে পাঠান যে, যাকাতের নিছাব ও প্রত্যেক নিছাবে যাকাতের যে, হার তা চির দিনের জন্য আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এতে কোন যুগে, কোন দেশে কমবেশি অথবা রদবদল করার অধিকার কারো নেই।

ফিতরার নিয়ম

ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পর সব সামর্থ্যবান মুমিনের ওপর ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। এ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে যদি কারো বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তবে ওই বাচ্চার জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিজ্ঞা নেই।তরা আদায় করা সর্বোত্তম। তবে আগে থেকে ফিতরা আদায়ে কোনো নিষেধ নেই।

ফিতরা আদায়ের সেসব নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ২ পরিমাপে ৫ জিনিস দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। আর তাহলো গম, যব, কিসমিস, খেজুর, পনির। এসব গুলোর মধ্যে গমের পরিমাপ হলো অর্ধ সা আর বাকিগুলোর পরিমাপ এক সা। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনো একটি দিয়ে এ ফিতরা আদায় করতে পারবেন। বর্তমান বাজারমূল্য হিসেবে তা তুলে ধরা হলো-

  •  গম/আটা : গম বা আটার পরিমাপ হবে অর্ধ সা। যা ৮০ তোলা সেরের মাপে ১ সের সাড়ে বারো ছটাক। আর কেজির হিসাবে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম। তবে ন্যূনতম পূর্ণ ২ সের/কেজির মুল্য আদায় করা উত্তম ৷ যার বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ টাকা।
  • যব : যবের পরিমাপ হবে এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ২৭০ টাকা।
  •  কিসমিস : এর পরিমাপও এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ১ হাজার ৫০০ টাকা।
  •  খেজুর : এর পরিমাপ এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ১ হাজার ৬৫০ টাকা।
  • পনির : পনিরের পরিমাপও এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ২ হাজার ২০০ টাকা।

তবে যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির-এর ক্ষেত্রে ৪ কেজির মূল্য পরিশোধ করাই উত্তম।

( তবে আমার মতে যব অর্ধ সা হওয়ার পরিবর্তে এক সা হওয়া উচিত।কারণ আমাদের দেশে যব খুব সহজে পাওয়া যায় ,আর খেজুর পাওয়া দূর্লভ তাই খেজুর অর্ধ সা হওয়া উচিত। )

ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত

ঈদুল ফিতরের দিন কোনো স্বাধীন মুসলমানের কাছে জাকাতের নিসাব তথা সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ কিংবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা তার সমমুল্যের নগদ অর্থ কারো কাছে থাকলেই ওই ব্যক্তির জন্য ফিতরা ওয়াজিব।

এ সম্পদ ঋণ এবং মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত হতে হবে। তবে ব্যতিক্রম হলো- জাকাতের জন্য এ সম্পদ পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকতে হবে, আর ফিতরার ক্ষেত্রে এক বছর থাকা শর্ত নয়। আর এসব ব্যক্তির জন্য ফিতরা গ্রহণ করাও হারাম।

আবার বাড়ি-ঘর, আসবাবপত্র, স্থাবর সম্পদের মূল্য (যদি ব্যবসার জন্য না হয়) জাকাতের নিসাবের অন্তর্ভূক্ত নয় ৷ কিন্ত ফিতরার ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্র,ঘর-বাড়ি ও স্থাবর সম্পদ, ভাড়া বাড়ি, মেশিনারীজ, কৃষিযন্ত্র ইত্যাদি (উপার্জনের জন্য না হলেও) এসবের মূল্যের হিসাবও ফিতরার নেসাবে অন্তর্ভূক্ত হবে ৷

ফিতরা যখন ওয়াজিব হয়

ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পর সব সামর্থ্যবান মুমিনের ওপর ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। এ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে যদি কারো বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তবে ওই বাচ্চার জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা কখন আদায় করতে হয়

ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করা সর্বোত্তম। তবে আগে থেকে ফিতরা আদায়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আর যদি কেউ কোনো কারণে ঈদের নামাজের আগে আদায় করতে না পারে তবে ঈদের পরেও তা আদায় করা যাবে। তবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করতেন। কেননা গরিব-অসহায় এ টাকায় কেনাকাটা করে ধনীদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবে।

সূত্র : গুগল,

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Difference Between Architecture and Civil Engineering

আর্কিটেকচার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং উভয়ই পরিকল্পনা এবং অবকাঠামোগত ডিজাইনের সাথে জড়িত। আর্কিটেকচার নির্মাণ কাজের কার্যকারিতা এবং নান্দনিকতার উপর বেশি গুরুত্ব প্রদান করে থাকে এবং নকশার শৈল্পিকতা, সৌন্দর্য, অনুভূতি এবং কার্যকারিতার উপর বেশি জোর দিয়ে থাকে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নকশার কাঠামোগত উপাদানগুলিতে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে, এবং নিশ্চিত করে নির্মাণ কাজটি স্বাভাবিক এবং চরম অবস্থা সহ্য করে যেকোনো পরিস্থিতিতে অটুট ও নিরাপদ থাকবে।

যদিও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগণ নকশা প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত, তথাপি স্থপতিরা কাঠামোর নকশার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। একজন স্থপতি নির্মাণ কাজের আকৃতি, রঙ এবং স্থানসহ পরিপূর্ণ নকশাটি করেন এবং তারপর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পেশাদাররা নির্মাণ কাজের নকশাটি বাস্তবে নির্মাণ করার সম্ভাব্য উপায়গুলি বিশ্লেষণ পূর্বক বের করে থাকেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগণ নির্মাণ কাজের জন্য উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন, নকশায় পরিবর্তন ও পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়া এবং স্থপতির নকশাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য কাঠামোগত মূল্যায়ন করে থাকেন।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, স্থাপত্যের প্রাথমিক কাজ হল নির্মাণ কাজের ডিজাইন করা এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দায়িত্ব হল নকশাটি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং স্থপতিরা কখনও কখনও একই ধরণের কাজ করে থাকেন এবং এই দুটি পেশার মধ্যে একটি ভাল সম্পর্ক নির্মাণ কাজকে আরও কার্যকর, সফল এবং নিরাপদ করে তুলে। স্থপতিরা সকল কাজের উৎকৃষ্ট, নির্ভুল এবং নান্দনিক নকশা প্রণয়ন নিশ্চিত করেন, কারণ তারা বোঝেন যে কোনো নির্মাণ প্রকল্পের সাফল্যের জন্য দলগত প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কাজের ক্ষেত্রে প্রধান পার্থক্যসমূহঃ

আর্কিটেকচার

১। আর্কিটেকচার কাজের কার্যকারিতা এবং নান্দনিকতার উপর বেশি গুরুত্ব প্রদান করে এবং নকশার শৈল্পিকতা, নান্দনিকতা এবং কার্যকারিতার উপর বেশি জোর দেয়।

২। স্থপতিরা কাজের প্রাক-নির্মাণ পর্যায়ের সাথে গভীরভাবে জড়িত থাকে।

৩। স্থপতিরা তাদের কাজ সম্পন্ন করার জন্য বেশিরভাগ সময় অফিসে অতিবাহিত করেন।

৪। স্থপতিদের কিছু বিষয়ের উপর খুবই পারদর্শী হতে হয় যেমন নকশা প্রণয়নের দক্ষতা, উচ্চতর গণিত, যোগাযোগ এর দক্ষতা, কম্পিউটার এর উপর দক্ষতা, নির্মাণ কাজের কোড সম্পর্কে ভাল জ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কাজের দক্ষতা। 

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

১। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নকশার কাঠামোগত উপাদানগুলিতে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে, এবং নিশ্চিত করে নির্মাণ কাজটি স্বাভাবিক এবং চরম অবস্থা সহ্য করে যেকোনো পরিস্থিতিতে অটুট ও নিরাপদ থাকবে।

২। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প পরিচালনা করে থাকেন যেমন রাস্তা ও মহাসড়ক প্রকল্প, সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পরিবহণ অবকাঠামোগত প্রকল্প, এবং আরও নানাবিধ নির্মাণ অবকাঠামোগত প্রকল্প।

৩। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা সরাসরি নির্মাণ কাজের সমস্ত পর্যায় তত্ত্বাবধান করে থাকেন।

৪। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মীদের তত্ত্বাবধান করে থাকেন।

৫। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা তাদের সময়কে ডেস্কের কাজ এবং সরাসরি সাইট তত্ত্বাবধানের মধ্যে ভাগ করে নেন।

আর্কিটেকচার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে কিছু পার্থক্য কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিদ্যমান কিন্তু এই দুই বিভাগই যেকোনো নির্মাণ এবং নির্মাণ প্রকল্পসমূহ বাস্তবে রূপ প্রদান করার কারিগর এবং একে অপরের কাজের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত। আমরা অনেকেই আর্কিটেকচারকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অংশ মনে করি বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংকে আর্কিটেকচার এর অংশ মনে করি। যার কারণ হল এই দুই বিভাগের কাজের ক্ষেত্রও একই এবং আমরা তাদের কাজ গুলকে একই মনে করি। এটি একটি ভুল ধারণা। কাজের ক্ষেত্রে এই দুই বিভাগ একসাথে কাজ করলেও তারা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র দুটি বিভাগ।

লেখকঃ

মোঃ আসাদুজ্জামান রাসেল

বিভাগীয় প্রধান

আর্কিটেকচার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Roles and responsibilities of merchandiser in apparel industry Part :01

What does a merchandiser actually do?

An industry’s job is to produce and that product must be made for a buyer or a consumer.On the other hand an Apparel Merchandising or Readymade Garments Merchandiser assumes all the responsibility of making this product at the right time and sending it to the buyer.Since an apparel merchandising completes all the processes of making a product and delivering it to the buyer within the desired time, an apparel merchandiser is often said to act as a bridge between the buyer and the industry.Starting from raw material collection or after raw material processing are required to finish the product, making the garment, finishing the garment, preparing documentation, and finally shipping all is done by a merchandiser.n my today’s series blog, I will focus on internal and external communication as well as sampling in a few words.

Picture Credits: The business standard

What and how internal and external communication is done?

It is said that one of the best qualities of a merchandiser is that his communication system can be verbal, verbal, written or even the right price.A merchandiser communicates not only with the buyer but also with the nominated factory owner, the fabric manufacturing company, the trimming and accessories supplier, and the ability to communicate must be accompanied by the utmost effort to maintain the right price and quality. A good quality buyer prefers to trust those merchandisers who have the ability to deliver the product in a timely manner as well as provide the guaranteed merchandiser to maintain the desired quality of the product.

Why is sampling time considered to be the most Important and challenging time in receiving the order?

A merchandiser agrees to take up the challenge if the merchandiser thinks that the sample can be developed in a similar way by his company or outside third party.But before accepting a sample, a merchandiser must consider exactly how much he will be able to do, because without a preconceived notion it will never be possible for the merchandiser to succeed.

initially if the sample is in the mind of the buyer or if it is slightly variable but if it is acceptable then later different types of samples should be developed here such as proto sample, fit sample, fit sample, photoshoot sample, salesman sample, size set sample, etc.The focus of the merchandiser is always on how to develop the exact sample before the casting as to how the exact sample is to be developed by the buyer because the initial development of the sample will depend on whether the order will be available.

Source: Self-content with Google searching

Author

Md Ashikur Rahman

Instructor (Textile & GDPM)

Department of Textile Engineering

লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (LMS)

লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) হল প্রশাসন, ডকুমেন্টেশন, ট্র্যাকিং, রিপোর্টিং, অটোমেশন, এবং শিক্ষামূলক কোর্স এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের জন্য একটি সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন। লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ধারণাটি সরাসরি ই-লার্নিং থেকে উদ্ভূত হয়েছে । যেটি লার্নিং সিস্টেম মার্কেটের বৃহত্তম অংশ হিসেবে কাজ করে। LMS এর প্রথম প্রবর্তন হয়েছিল 1990 দশকের শেষের দিকে। COVID-19 মহামারী চলাকালীন দূরবর্তী শিক্ষার উপর জোর দেওয়ার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সিস্টেমগুলি অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় LMS এর ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনাকালীন সময়ে যখন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয় তখন ও ড্যাফোডিল পলিটেকনিক থেমে থাকেনি। শিক্ষার্থীদের একই ফ্লাটফর্মে নিয়ে আসতে ড্যাফোডিল পলিটেকনিক শুরু করেছে নিজস্ব লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (LMS). College.ac ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের নিজস্ব এবং পূর্ণাঙ্গ অনলাইন পোর্টাল। যেটি Smart Edu নামেও পরিচিত। 

Learning Management System(LMS) এ ডিপার্টমেন্টের কোর্সের উপর ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের প্রশিক্ষক এবং শিক্ষিকাগণ প্রতিটি সাবজেক্টের উপর বিষয়ভিত্তিক ভিডিও কোর্স তৈরি করে আপলোড করেন। শিক্ষার্থীরা যেন প্রতিটি টপিক এ ক্লিয়ার কনসেপ্ট পায় সে জন্য ক্লাস লেকচারের পাশাপাশি শিক্ষকরা LMS এ একই টপিকের পিডিএফ ফাইল, বিভিন্ন আর্টিকেল এবং ভিডিও পোস্ট করেন। যার ফলে কোনো শিক্ষার্থী যদি কোনো কারণে ক্লাস মিস করে তার পূর্বের ক্লাসের টপিকগুলো সে LMS থেকে ভিডিও দেখে বুঝে নিতে পারবে। 

LMS এ ইতোমধ্যে প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট এর কোর্স টিচার দ্বারা ৬৪টি ভিডিও কোর্স আপলোড করা হয়েছে। LMS এ লগইন করার জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের ইমেইল আইডি প্রদান করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ইমেল দিয়ে LMS এ লগইন করে তাদের কোর্স টিচার কর্তৃক প্রদত্ত ভিডিও, পিডিএফসহ অন্যান্য কোর্স গুলো সম্পন্ন করে থাকে। LMS এর মাধ্যমে শিক্ষকগ্ণ ভার্চুয়ালী লাইভ ক্লাস নিশ্চিত করে থাকে যাতে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনেও ক্লাস করার সুযোগ পায়। প্রতিটি ক্লাস ভিডিও এর উপর শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ দিয়ে নিজের দক্ষতা যাচাই করার সুযোগ রয়েছে যার ফলে শিক্ষার্থীরা টপিকটি কতটুকু আয়ত্ত করতে পারছে সে বিষয়টি যাচাই করতে পারে।

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক সবসময় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মানউন্নয়নের দিকে নজর দেয়। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের যেকোনো পরিস্থিতিতে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এবং প্রতিটা টপিক শিক্ষার্থীদের কাছে সহজ করে তুলে ধরার জন্য ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের নিজস্ব লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (LMS).

নাজমুন নাহার

ডিজিটাল মার্কেটিং অফিসার

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

The Importance of Wet Processing and Its main function

ওয়েট প্রসেসিংঃ ওয়েট অর্থ ভেজা বা সিক্ত আর প্রসেস অর্থ প্রক্রিয়া তাই ওয়েট প্রসেস বলতে ভেজা বা সিক্ত প্রক্রিয়াকে বুঝায়।বুনন বা বুনন থেকে উৎপাদিত কাপড়কে গ্রে ফ্যাব্রিক বলা হয়, কারণ এতে প্রাকৃতিক রঙ থাকে এবং তা বাজারজাতকরণের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই কিছু ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন হয়, যেমন সিনজিং, ডিসাইজিং, ব্লিচিং, ডাইং, প্রিন্টিং, এবং ফিনিশিং ইত্যাদি। একটি ফ্যাব্রিককে ক্রেতার কাছে গ্রহনযোগ্য করতে কিছু রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট অপরিহার্য এবং এই প্রক্রিয়াগুলিকে ওয়েট প্রসেসিং বলা হয়। সুতরাং, ভেজা প্রক্রিয়াকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে টেক্সটাইল উপকরণগুলিকে কিছু রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে ট্রিটমেন্ট করা হয় এবং পানি দিয়ে ভেজানো হয়। ভেজা প্রক্রিয়াকরণে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বেশিরভাগ প্রক্রিয়া পানি দিয়ে সম্পন্ন করা হয়। তাই ভিজা প্রক্রিয়াকরণে বিশুদ্ধ পানি অত্যন্ত প্রয়ো্নীয় একটি উপকরণ।

 ওয়েট প্রসেসিংয়ের গুরুত্বঃ মূলত ওয়েট প্রসেসিং পানি সম্পর্কিত একটি প্রক্রিয়া। এখানে সব প্রক্রিয়াই গুরুত্ব বহন করে। উদাহরণ স্বরূপ: ডিসাইজিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা সাইজিং উপকরণ (স্টার্চ, মোম, ট্যালো, তেল, কার্বক্সিলিক অ্যাসিড, সাগো ইত্যাদি) অপসারণের জন্য প্রয়োজন। তারপরে ফ্যাব্রিক ধবধবে সাদা করার জন্য  ব্লিচিং করা হয়। এইভাবে ফিনিশড ফ্যাব্রিক পাওয়ার আগ পর্যন্ত ফ্যাব্রিক এইসকল গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। তাই এই ওয়েট প্রসেসিং প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি থাকলে মানসম্পন্ন কাপড় তৈরি করা সম্ভব নয়।

ওয়েট প্রসেসিংয়ের কাজসমূহঃ ওয়েট প্রসেসিং এর কাজগুলোকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ

১। প্রিট্রিটমেন্ট

২। ডাইং এন্ড প্রিন্টিং, এবং

৩। ফিনিশিং

প্রিট্রিটমেন্ট: টেক্সটাইল সামগ্রীকে ডাইং এবং প্রিন্টিং এর উপযোগী করে তোলার জন্য যে প্রক্রিয়াটি করা হয় তাকে প্রিট্রিটমেন্ট বলে। যেমন – Singing, Desizing, Scouring, Bleaching ইত্যাদি।

ডাইং এবং প্রিন্টিং: যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেক্সটাইল সামগ্রীগুলিকে বিভিন্ন ধরণের রঞ্জক বা রং, সম্পর্কিত রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা প্রয়োজনীয় রঙ করা হয় তাকে ডাইং বা রঞ্জনবিদ্যা বলে। পূর্বনির্ধারিত নকশা অনুযায়ী কাপড়ে রঞ্জক পদার্থ বা রঙ স্থানীয়ভাবে প্রয়োগ করাকে প্রিন্টিং বা মুদ্রণ বলে।

ফিনিশিং: যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেক্সটাইল সামগ্রীকে ক্রেতার সন্তুষ্টি বা আকর্ষণের জন্য বাজারজাতকরণের উপযোগী করে তোলা হয় তাকে ফিনিশিং বলা হয় যেমন ক্যালেন্ডারিং, অ্যান্টি-ক্রিজিং, লেভেলিং ইত্যাদি।