হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত হাইড্রোকার্বন এবং হাইড্রোকার্বন ও হাইড্রোকার্বন এর জাতককে জৈব যৌগ বলা হয় ।
যেমন, মিথেন (CH4)
আয়োডো মিথেন (CH3I)
মিথানল (CH3OH)
বেনজিন (C6H6) ইত্যাদি।
1808 সালে সুইডিশ বিজ্ঞানী বার্জেলিয়াস উদ্ভিদ এবং প্রাণী সজিব পদার্থ থেকে প্রাপ্ত যৌগসমূহকে জৈব যৌগ বলে আখ্যায়িত করেন । তিনি 1815 সালে আবার প্রস্তাব করেন যে, জৈব যৌগ সমূহ কেবল সজীব উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহে এক রহস্যময় প্রাণশক্তি প্রভাবে উৎপন্ন হয়ে থাকে । পরীক্ষাগারে জৈব যৌগ সমূহকে প্রস্তুত করা যায় না। এ মতবাদটি বার্জেলিয়াস এর “প্রাণশক্তি মতবাদ” নামে অভিহিত। তখন সকল বিজ্ঞানীদের মতবাদ গৃহীত হয়।
ফ্রেডরিখ ভোলার 1828 সালে অজৈব অ্যামোনিয়াম সায়ানেট ও অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড থেকে পরীক্ষাগারে ইউরিয়া সংশ্লেষণ করেন, যা একটি জৈব যৌগ। এর ফলে শতাব্দীকাল ধরে প্রচলিত ধারণার অবসান ঘটে।
2NH4Cl(aq) + Pb(CNO)2(aq) = 2NH4CNO(aq) + PbCl2(s)
NH4CNO = NH2-CO-NH2
এভাবে পরীক্ষাগারে ইউরিয়া প্রস্তুত এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, প্রাণশক্তি ছাড়াই পরীক্ষাগারে জৈব যৌগ প্রস্তুত করা সম্ভব । এ কারণে ফ্রেডরিখ ভোলারকে “জৈব রসায়নের” জনক বলা হয়
বৈশিষ্ট্য অনুসারে জৈব যৌগ দুই প্রকার ।
যথা- 1. অ্যালিফেটিক যৌগ 2. অ্যারোমেটিক যৌগ।
অ্যালিফেটিক যৌগ: অ্যালিফেটিক এর অর্থ হল চর্বিজাত, অ্যালিফার একটি গ্রিক শব্দ, এর অর্থ চর্বি হতে প্রাপ্ত।
যেসকল জৈব যৌগের কার্বনের শিকলের দুই প্রান্ত মুক্ত অবস্থায় থাকে তাদের মুক্ত শিকল অথবা অ্যালিফেটিক যৌগ বলা হয়।
কার্বন শিকলের বন্ধন প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে অ্যালিফেটিক যৌগ সমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
- সম্পৃক্ত জৈব যৌগ।
- অসম্পৃক্ত জৈব যৌগ।
সম্পৃক্ত জৈব যৌগ: যে সকল জৈব যৌগের কার্বন-কার্বন শিকলে পরমাণুগুলি একক বন্ধনীর মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাদেরকে সম্পৃক্ত জৈব যৌগ বলে।
যেমন: মিথেন (CH4) , প্রোপেন (C3H8) , ইথেন (C2H6) ইত্যাদি।
অসম্পৃক্ত জৈব যৌগ: যে সকল জৈব যৌগের কার্বন-কার্বন শিকলে পরমাণুগুলি একাধিক বন্ধনীর মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাদের অসম্পৃক্ত জৈব যৌগ বলে।
যেমন: ইথিলিন (C2H4), অ্যাসিটিলিন (C2H2) ইত্যাদি।
YTD Link: https://www.youtube.com/watch?v=4INdeZ5HYpw
লেখক
মোঃআলামিন হোসেন
লেকচারার
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট